,

বেইলি রোডে খাবারের দোকান চালু করেছেন ‘অবুঝ দুটি মন’ এর চাঁদনী

সময় ডেস্ক : মা-বাবার রাখা নাম কানিজ রাবেয়া রথি হলেও চলচ্চিত্রজগৎ তাঁকে ‘চাঁদনী’ নামেই পরিচিত করে। নব্বইয়ের দশকে মুক্তি পাওয়া ‘অবুঝ দুটি মন’ চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন তাঁকে চাঁদনী নামেই সবার সামনে উপস্থাপন করেন। আমিন ও চাঁদনী অভিনীত ছবিটি সে সময় বেশ আলোচিত হয়। রথিও সবার চাঁদনী হয়ে ওঠেন। অল্প কিছুদিন পর আবার হারিয়েও যান। নিজেকে সিনেমা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেন। দেশের তুমুল জনপ্রিয় ব্যন্ডতারকা জেমসকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ওই সিনেমা মুক্তি দুই বছর আগে, ১৯৯১ সালের ১৭ নভেম্বর। সংসারের কারণেই সিনেমাকে বিদায় জানান বলে জানান চাঁদনী।
১৯৯৩ সালের ১ অক্টোবর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘অবুঝ দুটি মন’ ছবিটি। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত এ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে আমিন খান ও চাঁদনীর। চাঁদনীরূপী সেই কানিজ রাবেয়া রথি এখন কী করছেন? কীভাবে কাটছে তাঁর সময়? ‘অবুঝ দুটি মন’ মুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কথা প্রসঙ্গে সম্প্রতি রথি বলেন, দুই সন্তান আবরার আলভী দানিশ ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে নিয়ে তিনি ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএসে থাকেন। কয়েক মাস হচ্ছে পার্টনারশিপে ঢাকার বেইলি রোডে ফুডকোর্ট চালু করেছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় সেখানেই কাটে তাঁর। কিছুদিন ধরে নিজের ডিজাইন করা পোশাক বিক্রির উদ্যেগও নিয়েছেন তিনি। শোরুম না নিলেও আপাতত অনলাইনে এসব পেশাক বিক্রি করছেন বলে জানালেন তিনি।
রথি বলেন, ‘আমি বেশ ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। এখন যা করছি, খুবই উপভোগ করছি। আনন্দ নিয়েই করছি।’ রথির শুরুটা নব্বইয়ের দশকে, ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে। তার আগে সুভাষ দত্তের ‘আগমন’ ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় ‘অবুঝ দুটি মন’। এ ছবিই রথিকে বাংলাদেশের আনাচকানাচে পরিচিতি এনে দেয়। চলচ্চিত্রজগতে তিনি চাঁদনী নামে পরিচিত ছিলেন। ছবি মুক্তির পর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আর দেখা মেলেনি কোনো সিনেমায়। ৩০ বছর আগে সিনেমায় অভিনয় ছাড়লেও পরবর্তী সময়ে নাটক, টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন। ১২ বছর ধরে সেখানেও নেই।
কেমন আছেন, জানতে চাইলে বলেন, ‘(হাসি) সন্তানদের নিয়ে ভালোই আছি। আমার ছেলে ফ্রিল্যান্স ভিডিও মেকিংয়ের কাজ করে। ইউএনএয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়েও কিছু কাজ করেছে। মেয়ে তো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।’ অভিনয়ের জগতের সঙ্গে রথি নেই ১২ বছরের বেশি সময়। তবে ফেসবুকে তাঁর দেখা মেলে। মাঝেমধ্যে মডেলিং ও সিনেমায় কাজ করার সময়কার কিছু স্থিরচিত্র আপলোড করে স্মৃতিকাতর হন। ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী’ নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যান্ড তারকা জেমসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় রথির। ‘অবুঝ দুটি মন’ মুক্তির বছর দুয়েক আগে, ১৯৯১ সালের ১৭ নভেম্বর তাঁরা বিয়ে করেন। ইস্কাটনে কিছুদিন থাকার পর, বড় ছেলে দানিশের জন্মের পর, ১৯৯৫ সালে উত্তরায় বসবাস শুরু করেন। ২০১১ সালে মোস্তফা কামাল রাজের ‘চাঁদের নিজের কোনো আলো নেই’ ধারাবাহিকের পর আর তাঁকে দেখা যায়নি অভিনয়ে। ২০১০ সালের শেষ দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিপু নামের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন রথি, কিন্তু সেই বিয়েও টেকেনি।


     এই বিভাগের আরো খবর